শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

দোয়া ব্যতীত ভাগ্য পরিবর্তন হয় না

                     আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা ও দোয়া ব্যতীত ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। 

              দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তির দোয়া 

রাসুলুল্লাহ(.) বলেন:

কোন কিছুই তাকদিরকে পরিবর্তন করতে পারে না, দোয়া ব্যাতীতনিশ্চয় যে বিপদ নাযিল হবার কথা ছিল, দোয়ার কারণে তা উঠিয়ে নেয়া হয়, যে নিয়ামত অবতীর্ণ হবার কথা ছিল না, তা অবতীর্ণ করা হয়হে আল্লাহর বান্দাগণ তোমরা বেশি বেশি দোয়া কর সিজদায় পরে, বা ভোর রাতে এবং ফরয নামাজ শেষে দোয়া বেশি কবুল হয়। কি করলে ভাগ্য পরিবর্তন হবে -নিচের দোয়া পড়ুন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

রাব্বি আউজুবিকা মিন হামাযাতিশ শায়াতীন(শয়তানের প্ররোচনা হতে হে আল্লাহ তোমার নিকট আশ্রয় চাই)

আল্লাহর উপর ভরসা(তাওয়াক্কুল)

০১. হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুয়া, লাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুওয়া রব্বুল আরশিল আযীম

আল্লাহ-ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মাবুদ নাই, আমি তাঁর উপরই ভরসা করি, আর তিনি মহান আরশের রবসকাল-বিকেল ৭বার করে পড়ুন

০২. লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমিন

০৩. ‘ইয়া-হাইয়্যু ইয়া-কাইয়্যুম বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ

রাসুলুল্লাহ(.) বলেন:

দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদীর উল্টাতে পারে না মানুষের উপকার কল্যাণের কাজেই শুধু আয়ু বৃদ্ধি পায়গোনাহ করার কারণে রিযিক বঞ্চিত হয়তিরমিযি:/৪৪৮

০৪. আল্লাহুম্মা ইন্নী উযুবিকা মিন জাহদিল বালা-য়ে, ওয়া দারকিশ শাকা-য়ে, ওয়া সূইল কদায়ি ওয়া শামাতাতিল দা হে আল্লাহ,অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দূরাবস্থা, দুভার্গ্যের নাগাল, মন্দভাগ্য এবং দুশমনের হাসি থেকে রক্ষা চাইছি

ঋণ পরিশোধের দোয়া

০৫. আল্লা-হুম্মাক ফিনী বিহালা-লিকাআন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদলিকাআম্মান সিওয়া-

অর্থ: হে আল্লাহ !তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ঠ দান কর (হালাল রুযিই যেনো আমার জন্য যষ্ঠে হয়) এবং হারামের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন প্রবণতাবোধ না করি এবং তোমার অনুগ্রহ অবদান দ্বারা তুমি ব্যাতিত অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও

পাহাড়সম ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া

০৬.আল্লাহম্মা ফা-রিজাল হাম্ম, ওয়া কা-শিফাল গাম্ম, ওয়া মুজীবা দাওয়াতিল মুযতাররীন, রাহমা-নাদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ ওয়া রাহীমাহুমা, আনতা তারহামুনী ফারহামনী বিরাহমাতিন্ তুগনিনী বিহা আন রাহমাতি মান ছিওয়াক(কিতাবুল আছার:/১৭৮)

অর্থ: হে আল্লাহ , আপনি পেরেশানি দূর করার মালিক,যত চিন্তা আছে সব চিন্তা লাঘবকারী, যারা দুর্দশাগ্রস্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সে সব নিরুপায় মানুষের দাওয়াত আহবানে সাড়া দানকারী, দুনিয়া এবং আখিরাতে আপনি রহমান, উভয় জগতে আপনি রাহিম, আপনি আমাকে দয়া করুন, সুতরাং আমাকে এমন অনুগ্রহ দ্বারা দয়া করুন, যা আপনি ছাড়া অন্য সবার অনুগ্রহ থেকে আমাকে সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষি করে দেবে

০৭.আল্লা-হুম্মা ইন্নী উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল- আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউযুবিকা মিনালবুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আউযু বিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালঅবাতির রিজা-(বুখারি:২৮৯৩)

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুচিন্তা দু: থেকে, অপারগতা অলসতা থেকে,কৃপণতা ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার মানুষের দমন-পীড়ন থেকে

ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে ইসলামিক উক্তি

ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা-

“(হে নবী) নিজের ত্রুটির জন্য এবং মুমিন পুরুষ নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন“-সূরা মুহাম্মদ:১৯

আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন তিনি বড়ই ক্ষমাশীল দয়ালু(সূরা নিসা:১০৬)

অত:পর তুমি তোমার রবের প্রশংসা করো এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো অবশ্যই তিনি তাওবা কবুলকারী_সূরা: নাসর-

 

ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা-

মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট আন্তরিকভাবে তাওবা করো, তাহলে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দকর্মসমূহ মিটিয়ে দেবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিতসূরা আত্ তাহরীম:

অবশ্যই ভালো কাজ সমূহ মুছে ফেলেমন্দ কাজ সমূহকে(সূরা হুদ:১১৪)

আস্তাগফিরুল্লাহিল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল হাইয়্যুলকাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি

০৮. আসতাগ ফিরুল্লা-হাল আযিমাল্লাযী লা- ইলা-হা  ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া 'আতূবু ইলাইহি।

বাংলা -'আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব সদা বিরাজমান,আর আমি তারঁই নিকট তওবা করছি।

০৯. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরীকা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।  (মুসলিম-১/৪০৮)

১০. বিপদ মুক্তির খতম লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু(গুনাহ মাফ,ওজনে ৭ আসমান ৭জমিনের চেয়ে ভারী, সর্বোত্তম যিকির)

-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু(আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই)১০০বার


ভাগ্য পরিবর্তন করার দোয়া নিম্নরুপ

১১. আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিও ওয়া' আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহীমা  ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ। আল্লা হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

১২. রাসুল্লাহ(স.) বলেছেন,দুটি কলেমা মহান আল্লাহতায়ালার নিকট খুবই প্রিয়-

ক) সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি হামদিহী  সুবহা-নাল্লা-হিল আযীম।(ওয়াবি হামদিহী  আজতাগফিরুল্লাহ)-ফজরের নামাজ শেষে ১০০বার

অর্থ- আল্লাহর প্রশংসা করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। কি পবিত্র মহান আল্লাহ।

(বুখারী-৭/১৬৮)

১৩)                      আল্লাহর চারটি প্রিয় কালাম

সুবাহানাল্লাহি, ওয়াল হামদু লিল্লাহি , ওয়ালা ইলা হা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লা-হু আকবার(মুসলিম-২১৩৭)

সাইয়েদুল ইস্তেগফার

আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাকতানী , ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা, ওয়া ওয়াদিকা, মাসতাত্বতু, আউযুবিকা মিন শার রিমা ছানাতু

আবুউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্ যুনবা ইল্লা আনতা

 

১৪) আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা,ওয়া উযু বিকা মিনান্নার

১৫)  ফাক্কোল তুসতাগফিরু রাব্বাকুম, ইন্নাহু কানা গাফফারা।

অর্থ: (অনন্তর আমি বলেছি, তোমরা প্রতিপালকের নিকট স্বীয় অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।)

ইউরসিলিস সামায়া আলাইকুম মিদরারা।

(তিনি তোমাদের জন্য আকাশ হতে বৃস্টি বর্ষন করবেন।)

ওয়া ইউমদিদকুম বিআম ওয়ালিও ওয়া বানীনা । ওয়া ইয়াজ আল লাকুম জান্নাতিও  ওয়া ইয়াজ আল লাকুম আনহারা।

(এবং তিনি তোমাদিগকে ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দ্বারা সাহায্য করবেন। তোমাদের জন্য উদ্যান সমূহ সৃষ্টি করবেন।)

১৬.উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার)। আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার)। আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার)। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহু; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর (১ বার)।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

০১. দৈনিক পড়ুন:

. লা ইলাহা ইল্লা ল্লাহ১০০/২০০/৫০০/১০০০ বার

. আল্লাহুস সামাদ-১০০বার

.  আগিছনী ইয়া রহমান

.  ইয়া জাল জালালি ইয়া আকরাম

. সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি

. ইয়া-ওয়া ছি-(হে অসীম)-আসরের নামাজ শেষে ১০০বার দ্রুত ধনী হতে

. ইয়া রাব্বুল, ইয়া গনিউ-১১০০বার নিরিবিলি পড়ুন

নবী করিম(স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার এটি পাঠ করবে তার পাপ সমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও পাপ সাগরের ফেনা রাশির সমান হয়ে থাকে।

২৫. রাব্বিগ ফিরলী ওয়াতুব আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুল গাফুরু ( হে আল্লাহ আমায় ক্ষমা করো, তওবা কবুল করো,নিশ্চয়ই তুমি তবুলকারী ও ক্ষমাশীল।)(সর্বদা পড়িবে)

( সর্ব প্রকার অভাব অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য)

১২. আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হালিন  (সর্বাবস্থায় আমি আল্লাহর শোকর আদায় করছি)

১৩. ইয়া ওয়ালীউ/  ( হে জিন্মদার)- ওযুসহ পড়বেন-১১বার

 

১৪. ইয়া গাফুরু(দু:খ কষ্ট দূর করার জন্য )

 

১৫.ইয়া মুযিল্লু  (হিংসুক,জালেম,শত্রু, থেকে নিরাপদ থাকতে)

 

১৬.মু'ইজ্জু( হে সম্মানদাতা)-৪০বার বাদ মাগরিব.

 

১৭.ইয়া রাফিউ( হে উচ্চ পদে আসীনকারী) মধ্যরাতে ১০০০বার

 

১৮.ইয়া কাইয়্যুমু ( হে বিশ্ব সত্তার ধারক ও কারক) -নির্জনে পাঠে স্বচ্ছলতা আনে

 

১৯.ইয়া ক্বাদিরু(হে শক্তিমান)-৪১বার -শত্রুকে অপমানিত করতে

 

২০.ইয়া গানিয়্যু- দৈনিক ৭০ বার

 

২১. ইয়া মুগনীউ (হে ধনদানকারী)

২২.ইয়া রাউফু (ত্রোধ দমন করতে ১০ বার আর দরুদ শরীফ ১০বার)

 

২৩.ইয়া মালিকাল মুলক-(পর নির্ভরশীলতা থেকে রক্ষায়)- যিকির করুন

২৪.ইয়া হাইউ(ফেরেসতাগণ সর্বদা এ নাম জিকির করেন। আহার নিদ্রার দরকার হয় না)

 

২৯. উচ্চারণ: হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকীলু আলাল্লাহি তাওয়াক্কালনা।

অর্থ: আল্লাহই আমাদের যথেষ্ট।তিনিই উত্তম কার্য নির্বাহক এবং তাঁর উপরই আমাদের ভরসা ।(রাতে ঘুমাবার আগে৩৩ বার)

 

৩০ক.

টাকা পয়সা,ধন সম্পদ বৃদ্ধি,প্রাপ্তি, সব সমস্যা দূর করতে বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিমসহ পড়ুন-

০১. সালামুন কাওলাম মীর রাব্বির রাহীম-আয়াত ৫৮, সূরা ইয়াসিন।

০২. দরুদ-৫বার- আল ওয়াজেদু-১১বার-দরুদ ৫বার

০৩. লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

০৪. লা ইলাহা ইল্লাহুল মালিকুল হাক্কুল মোবিন।

(দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভের দোয়া)

০৫. ইয়া গনিয়ু এটি একটি আল্লাহর পবিত্র নাম।

সব সময় চলতে ফিরতে পড়তে থাকুন।

০৬. রিজিক বৃদ্ধির জন্য সূরা কাওসারের আমল করুন বেশি বেশি।বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

ইন্না আতইনা কাল কাউসার……………………….হুয়াল আবতার।১১বার দরুদ-১১বার সূরা কাউসার-১১বার দরুদ।

দারিদ্রতা দূর করার অব্যর্থ দুয়া

হযরত ওমর ফারুক রা. বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় এ দুয়াটি পাঠ করবে, সে ব্যক্তির আমলনামায় দশ লাখ নেকি লেখা হবে এবং তার আমলনামা থেকে দশ লাখ গুনাহ মুছে দেয়া হবে।

৩০খ.লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলক, ওয়ালাহুল হামদ, ইউহই ওয়া ই মিতু, বিয়াদিহিল খাইর, ওহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

অর্থ:আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই।তিনি একক। তাঁর কোন শরিক নেই।তাঁর জন্যই বাদশাহী ও রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সমস্ত প্রশংসা। তিনি জীবন দেন, মৃত্যু দেন। তিনি জীবিত আছেন, মারা যাবেন না কখনোই। সমস্ত কল্যাণ তাঁর নিয়ন্ত্রণে এবং তিনি সমস্ত জিনিসের ওপর ক্ষমতাবান।(তিরমিযি)

বাড়ি থেকে বের হবার সময় দোয়া

বিসমিল্লাহি তাওয়াককালতু আলাল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

ইজ্জ্বত রক্ষার দোয়া :

আল্লাহুম্মা মালিকার মুলকি তুতিল মুলকা মান তাশাউ ওয়া তানযিউল মুলকা মিম্মান তাশাউ, ওয়াতুইযযু মান তাশাউ ওয়া তুজিল্লু মানতাশাউ বিইয়াদিকাল খাইর ইন্না আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর

#ভাগ্য পরিবর্তন করা,#ভাগ্য পরিবর্তন করার দোয়া, #দোয়া ভাগ্য পরিবর্তন করে হাদিস

#ভাগ্য পরিবর্তনের হাদিস, #ভাগ্য খারাপ হয় কেন #দোয়া করার ফজিলত #ভাগ্য কি পরিবর্তন হয়।

শুক্রবার(জুমার দিন) দরুদ শরীফ পাঠে কী লাভ জানেন

পবিত্র জুমার দিন (শুক্রবার) আমাদের যে সব করণীয় রয়েছে তারমধ্যে রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি অধিক পরিমানে দুরুদ পাঠ করার কারণ বর্ণিত হয়েছে নিম্নোক্ত হাদীসটিতে:

আউস বিন আউস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের দিন সমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে মৃত্যু দেওয়া হয়েছে, এই দিনে সিংগায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং মহা বিপর্যয়ও (কিয়ামত) ঘটবে এই দিনেই। তাই এই দিনে তোমরা বেশি বেশি আমার উপর দরুদ পাঠ করবে; কেননা তোমাদের দরুদ আমার উপর পেশ করা হয় জুমার দিনে।

শুক্রবারে(জুমার দিনের) দরুদ শরীফ পড়ার ফজিলত অনেক বেশি। আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,

‘আমার ওপর জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ এ হলো এমন মোবারক দিন; যে দিনে ফেরেশতারা উপস্থিত হয়। যখন কোনো ব্যক্তি আমার ওপর দরুদ পাঠ করে ওই দরুদ সে পড়ার আগেই আমার কাছে আনীত হয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার ইন্তেকালের পরও কি আপনার কাছে আনীত হবে? রাসুল (সা.) বলেন, ইন্তেকালের পরও। আল্লাহতায়ালা জমিনের জন্য সব নবীর দেহ হারাম করে দিয়েছেন।’ (তারগিব : ৩/৩০৩)

জুমার দিনের দরুদ শরীফ আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ (তারগিব, হাদিস : ১৫৭) দরুদ শরীফ।


জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ওপর দরুদ পাঠ করা পুলসিরাত পার হওয়ার সময় আলো হবে। যে ব্যক্তি জুমার দিন ৮০ বার দরুদ পড়ে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’

জুমার দিনের আসরের পরের আমল অন্য বর্ণনায় নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে ৮০ বার এই দরুদ শরিফ পাঠ করে, ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিইয়্যিল উম্মিইয়ি ওয়া আলা আলিহি ওয়া আস হাবিহি ওয়াসাল্লিমু তাসলিমা’। তার ৮০ বছরের পাপ ক্ষমা হয়ে যায় এবং ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়।’(আফদালুস সালাওয়াত : ২৬) 

হজরত আলী (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল, হাদিস : ১৭৪) দুরুদে ইব্রাহীম সর্বোত্তম দুরুদ হচ্ছে দুরুদে ইব্রাহীম,যা আমরা সবাই সালাতে পাঠ করে থাকি। আপনি দুরুদে ইব্রাহীম পড়ে যে সওয়াব ও ফযীলত পাবেন, অন্য কোন দুরুদ পড়ে তার সমান সওয়াব ও ফযীলত পাবেন না।

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আ-লি মুহা’ম্মাদ, কামা সল্লাইতা আ’লা ইবরাহীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হা’মীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আলি মুহা’ম্মাদ, কামা বা-রাকতা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রাহীম। ইন্নাকা হা’মীদুম মাজীদ।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ করুন, যেমন আপনি ইব্রাহীম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ করেছিলেন, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মহান। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবারের প্রতি বরকত দান করুন, যেমন আপনি ইব্রাহিম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি বরকত দান করেছিলেন, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মহান।সূত্র: সহীহ বুখারীঃ ৩৩৭০, সহীহ মুসলিম। দুরুদে ইব্রাহীম ২ (দরুদ শরীফ )


বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আ-লি মুহা’ম্মাদ, ওয়া বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আলি মুহা’ম্মাদ, কামা সল্লাইতা ওয়া বারাকতা আ’লা ইবরাহীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হা’মীদুম মাজীদ।


বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ করুন এবং বরকত দান করুন, যেমনিভাবে আপনি ইব্রাহীম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি ও বরকত দান করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মহান।


ছোট দরুদ বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সল্লি আ’লা মুহা’ম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আলি মু’হাম্মাদ। অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহা’ম্মদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর রহমত বর্ষণ কর। উৎসঃ সুনানে নাসায়ীঃ হাদীস নং-১২২৫, হাদীসটি সহীহ।


বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহা’ম্মাদ। অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন। সবচেয়ে ছোট দুরুদ : ছোট দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণঃ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থঃ আল্লাহ তাঁর (মুহা’ম্মদের) প্রতি সালাত (দয়া) ও সালাম (শান্তি) বর্ষণ করুন।


দুরুদ শরীফ কখন পড়তে হয়?

নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকাল বেলা আমার উপর দশবার দরুদ পাঠ করবে এবং বিকাল বেলা দশবার দরুদ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন সে আমার সুপারিশ দ্বারা সৌভাগ্যবান হবে।” মহান আল্লাহতাআলা প্রত্যেক মুসলমান নরনারীকে নবী করিম (সা.)-এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দান করুন। আমিন। Source: ctaj24.com

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩

অভাব দূর, কবরের আযাব থেকে মুক্তি, গুনাহ মাফের শ্রেষ্ঠ দোয়া

 গুনাহ, পেরেশানি, কবরের আযাব থেকে মুক্তি, গুনাহ মাফের শ্রেষ্ঠ দোয়া(দো'আ) নিয়ে আজ আলোচনা। গুনাহ, পেরেশানি, কবরের আযাব থেকে মুক্তি, গুনাহ মাফের শ্রেষ্ঠ দোয়া, রিযিক বৃদ্ধি,অভাব দূর, ভাগ্য পরিবর্তনের দোয়া নিয়ে আলোচনার আগে প্রাক আলোচনা দরকার।অন্ধভাবে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। 

কোন কিছুই তাকদিরকে পরিবর্তন করতে পারে না, দোয়া ছাড়া। বলেছেন, নবী করিম (সা.)। 


একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা ( তাওয়াক্কুল করতে হবে)

"যখন তুমিদৃঢ়ভাবে ইচ্ছা করবে,তখন আল্লাহর উপর ভরসা করবে। নিশ্চয় আল্লাহ ভরসাকারীদের ভালবাসেন।"-সূরা-আলে ইমরান(১৫৯)


"আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে পতিত সমস্যা সমাধানের পথ করে দেবেন। তাকে তার ধারণাতীত  স্থান থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট"। 

সূরা: তালাক:২-৩


০১. "হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুয়া,আ'লাইহি তাওয়াক্কালতু,ওয়া হুওয়া রব্বুল আরশিল আ'যীম।"

সূরা  তাওবা :১২৯

সকাল বিকেল ৭বার করে পাঠ করুন।

ফযিলত : যে ব্যক্তি দোয়াটি পড়বে তার দুনিয়া ও আখেরাতের সকল চিন্তাভাবনার জন্য আল্লাহ-ই যথেষ্ট হবেন।

০২. লা ইলাহা ইল্লাহ্-দৈনিক ১শতবার(এটা সর্বোত্তম যিকির)

০৩. "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আযীম।" -দৈনিক ১শতবার

০৪. সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ এবং ". লা ইলাহা ইল্লাহ্"- নামাজ শেষে ৩৩বার করে যিকির করুন।

০৫. "আস্তাগফিরুল্লাহিল্লাাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল   হাইয়্যুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।" 

সকাল বিকেল যখন খুশি পড়তে থাকুন।গুনা মাফ হওয়ার,মাফ চাওয়ার দোয়া এটি। 

০৬. ইয়া-হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ।

০৭. লা ইলাহা ইল্লাহা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমিন।

০৮. ইয়া গানিয়্য, ইয়া মুগনি'য় , রাউফু, ইয়া রাজ্জাকু, ইয়া বাসিতু দিন-রাত পড়তে থাকুন। 

০৯. দৈনিক ১০০বার বিসমিল্লাহ পড়ুন।  

১০. লা হাওলা অলা  কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ---১০০বার পড়ুন। 

১১. লা ইলাহা ইল্লাহুল মালিকুল হাক্কুল মোবিন।-(দুনিয়া ও পরকালের সুখ শান্তি)

১২.বিসমিল্লাহির  রাহমানির রাহিম।

১।ফাক্কোল তুসতাগফিরু রাব্বাকুম, ইন্নাহু কানা গাফফারা। ।
অর্থ: (অনন্তর আমি বলেছি, তোমরা প্রতিপালকের নিকট স্বীয় অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।) 

২। ইউরসিলিস সামায়া আলাইকুম মিদরারা।

(তিনি তোমাদের জন্য আকাশ হতে বৃস্টি বর্ষন করবেন।)
৩। ওয়া ইউমদিদকুম বিআম ওয়ালিও ওয়া বানীনা । ওয়া ইয়াজ আল লাকুম জান্নাতিও  ওয়া ইয়াজ আল লাকুম আনহারা।

১৩. আল্লাহুম্মা আকফিনী বিহালালিকা আন হারামিকাওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়াকা।(হে আল্লাহ আমাকে হালাল পথে এ পরিমাণ রিযিক দাও যা আমার জন্য যথেষ্ট হয়আর হারাম রোজগারের যাতে প্রয়োজন না হয় এবং স্বচ্ছল করে দাও তোমার অনুগ্রহ দ্বারা এমনভাবে যাতে তুমি ব্যাতীত অন্য কারো প্রতি নির্ভর করতে না হয়।

সবচেয়ে বেশি লাভ সিজদা করে---যিকির, মোনাজাত, দোয়া পাঠ। 

রাসূল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ বলেন-,  " আমার যিকির যাকে এরুপভাবে নিমগ্ন রাখে যে , সে আমার কাছে কিছু চাওয়ার সময় পায় না। তাকে আমি এমন বস্তু দান করবো, যা প্রার্থনাকারীদের প্রাপ্য বস্তুর চেয়ে উত্তম।;

মনে রাখবেন-অভাবে পড়ে মানুষের কাছে কিছু চাওয়া হলে আল্লাহ তার অভাব দূর করেন না। 

রাসূল(সা.) হতে বর্ণিত আল্লাহ বলেন, 

"হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজের অবসর সময় তৈরি করো এবং ইবাদতে মন দাও। তাহলে তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং  তোমার দারিদ্রতা ঘুচিয়ে দেব।যদি তা না কর ,তাহলে  তোমার হাতকে কর্মব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর করবো না। (তিরমিযী.ইবনে মাজাহ)।

আরও পড়ুন : মোনাজাত এ যা বলবেন

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩

জানেন খালি ঘরেও সালাম দিতে হয়, শুধু ‘ওয়ালাইকুম’ কাদের বলবেন

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম ২০২৩

‘সালাতুল হাজত’ নামাজের ধরাবাধা কোনো নিয়ম নেই। স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। চার রাকাতও পড়া যায়। নামাজ শেষে আল্লাহ তাআলার হামদ ও ছানা (প্রসংসা) এবং নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে— নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে। প্রায় ৩০দিন টানা পড়ার ইচ্ছায় পড়তে থাকুন। আল্লাহ খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না ইনশআল্লাহ। 

ইসতেগফারের দোয়া ২০২৩

উচ্চারণসুবহা-নাল্লা- (৩৩ বার) আলহাম্দুলিল্লা- (৩৩ বার) আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার) লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহুলাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর ( বার)

ইসতিগফার    (সুরা নুহ্ ১০-১২ আয়াত)    
( সর্বদা পড়িবে)
( সর্ব প্রকার অভাব অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য)


 বিসমিল্লাহির  রাহমানির রাহিম।
১।ফাক্কোল তুসতাগফিরু রাব্বাকুম, ইন্নাহু কানা গাফফারা। ।
অর্থ: (অনন্তর আমি বলেছি, তোমরা প্রতিপালকের নিকট স্বীয় অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।) 

২। ইউরসিলিস সামায়া আলাইকুম মিদরারা।

(তিনি তোমাদের জন্য আকাশ হতে বৃস্টি বর্ষন করবেন।)
৩। ওয়া ইউমদিদকুম বিআম ওয়ালিও ওয়া বানীনা । ওয়া ইয়াজ আল লাকুম জান্নাতিও  ওয়া ইয়াজ আল লাকুম আনহারা।
খুব বেশি উপকারী এটি। 

অপরের সালামের প্রত্যাশা না করে নিজ থেকে সালাম দেওয়া।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু

'ওয়া আলাইকুমুস সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি, ওয়া বারাকাতুহু'.


১. অমুসলিমদের সালামের উত্তরে শুধু ‘ওয়ালাইকুম’ বলা।

২. সালাম দেওয়ার পরই অন্য কথা বলা।

৩. সালামের উত্তর না পেলে তিনবার সালাম দেওয়া।

৪. ছোটরা বড়কে, পদচারী বসা ব্যক্তিকে এবং অল্প লোক বেশি লোককে সালাম দেওয়া।

৫. শিশুদের সালাম দেওয়া সুন্নত।

৬. মাহরাম নারীদের সালাম দেওয়া।

৭. কোনো বৈঠক থেকে ওঠার সময় সালাম দেওয়া।

৮. ঘরে ঢোকার সময় পরিবারের লোকদের সালাম দেওয়া।

৯. ঘরে কেউ না থাকলে এভাবে সালাম দেওয়া—‘আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালেহিন’।

১০. সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব।

১১. সালামদাতার চেয়ে উত্তম শব্দে কিংবা হুবহু সেই শব্দে উত্তর দেওয়া।

১২. অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে সালাম পাঠানো সুন্নত।

১৩. অনুপস্থিত ব্যক্তির পাঠানো সালামের উত্তর ‘আলাইকা ওয়া আলাইহিস সালাম’ বলে দেওয়া উচিত।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩

বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

 আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার দোয়া

কোন সূরা পড়লে বিপদ দূর হয়

দিন ভালো যাওয়ার দোয়া

৭০ টি বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া

যে কোন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া

বিপদ থেকে মুক্তির নামাজ

বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া আরবিতে

এসবের জন্য নিচের দোয়াগুলো সিরিয়ালি পড়তে থাকুন। মনে শতভাগ বিশ্বাস রাখতে হবে, এই পাটৈর কারণে আল্লাহতায়ালা আমার সমস্যার সমাধান দেবেন। 

আল্লাহ নিজেই তাঁর ওপর ভরসাকারীর দায়িত্ব নিয়ে নেন। তিনি বলেন ‘আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই।’ (সুরা তালাক: ৩)।


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

০১. রাব্বি আউজুবিকা মিন হামাযাতিশ শায়াতীন(শয়তানের প্ররোচনা হতে হে আল্লাহ তোমার নিকট আশ্রয় চাই)

 

০২.  উচ্চারণ- আসতাগ ফিরুল্লা-হাল আযিমাল্লাযী লা- ইলা-হা  ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া 'আতূবু ইলাইহি।

 

বাংলা -'আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব সদা বিরাজমান,আর আমি তারঁই নিকট তওবা করছি।

০৩. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরীকা শারীকা লাহু , লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।

 

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।  (মুসলিম-১/৪০৮)

০৪. আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিও ওয়া' আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহীমা  ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ। আল্লা হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

০৫. আল্লাহুম্মা সাল্লিা আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্না বিয়্যিল উম্মিয়্যি।হে আল্লাহ ! আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) যিনি সাধারণের ন্যায় শিক্ষা প্রাপ্ত নন, তাঁর ওপর রহমত অবতীর্ণ কর।

০৬. বিপদ মুক্তির খতম- লা ইলাহা ইল্লা ল্লাহু (আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই)

অধিক সম্পদ লাভের দোয়া

যে দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না

গায়েবী টাকা পাওয়ার উপায়

টাকা হাতে আসার দোয়া

গায়েবি সম্পদ পাওয়ার আমল

সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

সম্পদ রক্ষার দোয়া

আল ওয়াঝেদু নামের ফজিলত


কঠিন কাজে যাবার সময় নিম্মের দোয়া সমূহ পড়ে নেবেন---

 

বিসমিল্লাহহির রাহমানির রাহিম।

 

(ক)আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা -জা আলতাহু সাহলান ওয়া আনতা তাজ আলুল হাযনা ইযাশিতা সাহলান।

 

হে আল্লাহ কোন কাজই সহজসাধ্য নয়। তুমি যা সহজ করনি। তুমি ইচ্ছে করলে সব দুশ্চিন্তাকেও সহজ করতে পারো।- ইবনে সুন্নী-৩৫১ পৃস্টা।

(খ)  আল্লাহুম্মা ইয়াসসির লানা উমুরানা (হে আল্লাহ!আমার সব কাজ সহজ করে দিন)

০৭. আল্লাহুম্মা আকফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়াকা।(হে আল্লাহ আমাকে হালাল পথে এ পরিমাণ রিযিক দাও যা আমার জন্য যথেষ্ট হয়, আর হারাম রোজগারের যাতে প্রয়োজন না হয় এবং স্বচ্ছল করে দাও তোমার অনুগ্রহ দ্বারা এমনভাবে যাতে তুমি ব্যাতীত অন্য কারো প্রতি নির্ভর করতে না হয়।(সূত্র: সুনানু আত তিরমিজী হা.নং ৩৫৬৩,.ছহীহ)

০৮. রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।

০৯. আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল বারাছে ওয়াল জুজাম,ওয়াল জুনোন,ওয়া মিন সায়্যিয়িল আসক্কাম।(খারাপ রোগ থেকে মুক্ত থাকার দোয়া)

১০. উচ্চারণ : ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত ক্বালবি আলা দিনিকা।(তিরমিযী, মিশকাত)

 হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখ।

১১. সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি

 

নবী করিম(স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার এটি পাঠ করবে তার পাপ সমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও পাপ সাগরের ফেনা রাশির সমান হয়ে থাকে।

 

১২. আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হালিন  (সর্বাবস্থায় আমি আল্লাহর শোকর আদায় করছি)

 

১৩. ইয়া ওয়ালীউ/  ( হে জিন্মদার)- ওযুসহ পড়বেন-১১বার

 

১৪. ইয়া গাফুরু(দু:খ কষ্ট দূর করার জন্য )

 

১৫.ইয়া মুযিল্লু  (হিংসুক,জালেম,শত্রু, থেকে নিরাপদ থাকতে)

 

১৬.মু'ইজ্জু( হে সম্মানদাতা)-৪০বার বাদ মাগরিব.

 

১৭.ইয়া রাফিউ( হে উচ্চ পদে আসীনকারী) মধ্যরাতে ১০০০বার

 

১৮.ইয়া কাইয়্যুমু ( হে বিশ্ব সত্তার থারক ও কারক) -নির্জনে পাঠে স্বচ্ছলতা আনে

 

১৯.ইয়া ক্বাদিরু( হে শক্তিমান)-৪১বার -শত্রুকে অপমানিত করতে

 

২০.ইয়া গানিয়্যু- দৈনিক ৭০ বার

 

২১. ইয়া মুগনীউ (হে ধনদানকারী)

২২.ইয়া রাউফু (ত্রোধ দমন করতে ১০ বার আর দরুদ শরীফ ১০বার)

 

২৩.ইয়া মালিকাল মুলক-(পর নির্ভরশীলতা থেকে রক্ষায়)- যিকির করুন

২৪.ইয়া হাইউ(ফেরেসতাগণ সর্বদা এ নাম জিকির করেন। আহার নিদ্রার দরকার হয় না)

 

২৫. রাব্বিগ ফিরলী ওয়াতুব আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুল গাফুরু ( হে আল্লাহ আমায় ক্ষমা করো, তওবা কবুল করো,নিশ্চয়ই তুমি তবুলকারী ও ক্ষমাশীল।)

 সর্বদা পড়িবে)

( সর্ব প্রকার অভাব অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য)


হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ছবি

সম্পদ বৃদ্ধির দোয়া

রিজিক বৃদ্ধির আয়াত

রিজিক বৃদ্ধির ১৪ টি আমল

রিজিক বৃদ্ধির উপায়

রিজিক বৃদ্ধির সূরা

রিজিক বৃদ্ধির পরীক্ষিত আমল

উপরের আমলগুলো নিয়মিতভাবে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়ুন। 

আল্লাহ তাঁর ওপর নির্ভরশীল বান্দাদের অগণিত রুটি-রুজি দেন, পার্থিব সব সমস্যার সমাধান করেন এবং আখিরাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন ও তাদের মর্যাদা সুউচ্চ করেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হতে, তাহলে পাখিদের যেভাবে রিজিক দেওয়া হয়, সেভাবে তোমাদেরও রিজিক দেওয়া হতো। এরা সকালবেলা খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যাবেলায় ভরা পেটে ফিরে আসে।’ (তিরমিজি)


সবশেষে আবার দুরুদ শরীফ

আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিও ওয়া' আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহীমা  ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ। আল্লা হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

 আল্লাহুম্মা সাল্লিা আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্না বিয়্যিল উম্মিয়্যি।হে আল্লাহ ! আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) যিনি সাধারণের ন্যায় শিক্ষা প্রাপ্ত নন, তাঁর ওপর রহমত অবতীর্ণ কর।

 

সময় থাকলে, ওযু করে রাতে পড়ুন বা মনযোগ দিয়ে পবিত্র কোরআনের নিচের সূরা ৬টি শুনুন:

ভাগ্য পরিবর্তন হবেই ইনশআল্লাহ। যে কোন প্রকার ভয়াবহ বিপদ, সমস্যা হতে নিরাপদে থাকবেন।

০১. সূরা হাজ্জ ০২. সূরা কালাম ০৩. সূরা আররাহমান ০৪.সূরা মুলক ০৫. সূরা ওয়াকিয়াহ ০৬. সূরা দুখান।

 

নোট:০১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

প্রার্থনা কবুল হবে এ দৃঢ় বিশ্বাস রেখে তোমরা প্রার্থনা করবে। এবং জেনে রাখ আল্লাহ কোনো উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা কবুল করেন না। (তিরমিজী, হাকেম)

০২. অভাবকালে মানুষের কাছে হাত না পেতে আল্লাহর শরণাপন্ন হলে এবং তার কাছেই প্রাচুর্য চাইলে অবশ্যই তার অভাব মোচন হবে এবং রিজিক বাড়ানো হবে। আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হয়, অতপর তা সে মানুষের কাছে সোপর্দ করে (অভাব দূরিকরণে মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়), তার অভাব মোচন করা হয় না। পক্ষান্তরে যে অভাবে পতিত হয়ে এর প্রতিকারে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হয় তবে অনিতবিলম্বে আল্লাহ তাকে তরিৎ বা ধীর রিজিক দেবেন। (তিরমিযী : ২৮৯৬; মুসনাদ আহমদ : ৪২১৮)


বিভিন্ন অজিফা ও দোয়া দরুদের বই, মুরব্বিদের পরামর্শে উপরের দোয়া ও আমল , আল্লাহর পবিত্র নাম নির্বাচন করা হয়েছে। সব জায়গায় ঘুরে ফিরে এসবই পাবেন। 


মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২

টাকা,ধন,সম্পদ,রিজিক বৃদ্ধির আমল দোয়া

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। পরম করুনাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

 টাকা,ধন,সম্পদ,রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং ঋণ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া  

bipod theke muktir doa
bipod
bipod theke rokkha pawar dua
bipod theke muktir namaz( হাজতের নামাজ)
bipod theke muktir surah

আমাদের অনেকে  ঋণ, টাকা পয়সা, নানা ছোট বড় সমস্যা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে   সব সময় টেনশানে থাকি। 

একান্তে আল্লাহর কাছে চাইতে জানলে এবং আল্লাহ আমাদের নিরাশ করেন না।গায়েবি সহায়তা, সুযোগ দেন এবং সমস্যা দূর করে দেন আমাদের রব।

মনে প্রাণে বিশ্বাস রেখে সব সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত দোয়া দরুদ পড়তে থাকুন। আল্লাহর কাছে চাইলে কেবল হয় না,এই দোয়া কবুলের জন্য নবী করিম(সা.) ওপরও দরুদ পাঠ করতে হয়। 

প্রতিটি দোয়ার আগে ও পরে দরুদ পড়তে হবে। এটা দোয়া কবুলের শর্ত।


টাকা পয়সা ধন সম্পদ বৃদ্ধির  কিছু দোয়া পাঠকদের সুবিধার্থে নিচে দেয়া হল:

০১. ‘সালামুন কাওলাম মীর রাব্বির রাহীম’-আয়াত ৫৮, সূরা ইয়াসিন।


০২. এক নি:শ্বাসে পড়ুন -১১ বার –আল ওয়াজেদু। আগে পরে ৫বার করে দরুদ পড়বেন।

bipod theke muktir doa

০৩.” লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।“

ধন সম্পদ বৃদ্ধি ও রক্ষার জন্য এটি পড়ুন।

০৪. “লা ইলাহা ইল্লাহুল মালিকুল হাক্কুল মোবিন।“

(দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভের দোয়া)

০৫. ইয়া গানিয়ু— এটি একটি আল্লাহর পবিত্র নাম।

সব সময় চলতে ফিরতে পড়তে থাকুন।


ইয়া বাসিতু


০৬. ফজরের নামাজের পর ১০বার  আল্লাহর পবিত্র নাম ‘ ইয়া বাসিতু” পড়ুন।

আগে পরে ১১ বার করে দরুদ পড়তে ভুলবেন না।

bipod theke muktir surah

০৭. রিজিক বৃদ্ধির জন্য সূরা কাওসারের আমল করুন বেশি বেশি।বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

ইন্না আতইনা কাল কাউসার……………………….হুয়াল আবতার।


যে দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না

কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে

কোন দোয়া পড়লে ধনী হওয়া যায়

কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়


গায়েবী টাকা পাওয়ার উপায়

গায়েবী টাকা পাওয়ার দোয়া

দোয়া কবুলের তাসবিহ

সবচেয়ে দামি দোয়া

bipod theke muktir namaz( হাজতের নামাজ)

দু রাকাত করে ৪/৬ রাত নফল নামাজ ৩০দিন টানা পড়ুতে থাকুন। আল্লাহ সমস্যার সমাধান বের করে দেবেন। ইনশআল্লাহ। আমি নিজেই উপকৃত। আলহামদুল্লিাহ। মনে বিশ্বাস রেখে এবাদত ও দোয়া দরুদ পড়বে--যে এতে আল্লাহ আমাকে সহায়তা করবেনই।


টাকা পয়সা অর্থ সম্পদ আসার দোয়া, টাকা পয়সা ধন সম্পদ বৃদ্ধির দোয়া, রিজিক বৃদ্ধির আমল | টাকা-পয়সা, রিযিক, ধন-সম্পদ দ্বিগুণ করার, টাকা পয়সা আয় করার বিশেষ আমল | ব্যবসায় উন্নতি লাভের দোয়া



ঋণ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া, রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল


আল্লা-হুম্মাকফিনী বেহালা-লেকা 'আন হারা-মেকা ওয়া আগ্ নিনী বেফাযলেকা 'আম্মান সেওয়া-কা।  ঋন মুক্তির দোয়া
অর্থ : হে আল্লাহ ! তুমি আমাকে হারাম ব্যতীত হালাল দ্বারা যথেষ্ট কর এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন কর' ।


যারা অনেক টাকা ঋণ ও ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ তারা এই দোয়া পড়ুন

যে দোয়া পাঠ করলে মানুষের অভাব দূর হয়! 


রিজিক বৃদ্ধির ১৪ টি আমল

রিজিক বৃদ্ধির আয়াত

রিজিক বৃদ্ধির সূরা

হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ছবি

রিজিক বৃদ্ধির জিকির

সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

গায়েবি রিজিক

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তওবা করতে হবে। 

 তওবার দোয়া 

আস্তাগ ফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বেও ওয়া আতুবু ইলাহি লা-হাওলা  ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলীইল আজীম। 


তাওবাহ কবুল হবার আমল

সুবহানাকা আল্লাহুমা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম মাগফিরলি ইন্নাকা আনতাত তাওয়্যাবুর রাহিম। 


৭০ টি বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

সকল বিপদ মুসিবত থেকে মুক্তির দোয়া দরুদ

বিপদ থেকে মুক্তির সুরা

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া

বিপদ থেকে মুক্তির আমল

বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

আকস্মিক বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া, টাকা পয়সা অর্থ সম্পদ আসা, টাকা পয়সা ধন সম্পদ বৃদ্ধির দোয়া

রিজিক বৃদ্ধির আমল | টাকা-পয়সা, রিযিক, ধন-সম্পদ দ্বিগুণ করার এবং টাকা পয়সা আয় করার বিশেষ আমল | ব্যবসায় উন্নতি লাভের জন্য উপরের দোয়া সমূহ নিয়মিত পড়ুন। 


শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১

রোজার সেহেরি, ইফতার এবং নামাজের স্থায়ী সময়সূচি

মানুষকে জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়, অনেক স্থানে আজান শোনা যায় না, দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার সময় নামাজ, ইফতার, সেহেরির সময় বুঝা মুশকিল হয়ে পড়ে। সে কারণে স্থায়ী সময়সূচি আমাদের সংগ্রহে থাকলে খুব উপকার পাওয়া যায়। দেখতে ক্লিক করুন- 


 https://islamicfoundation.portal.gov.bd/sites/default/files/files/islamicfoundation.portal.gov.bd/page/e64eafb0_5067_44ac_aa4e_a2e2545a454b/Calender_permanent%20fr%20Sahri%20&%20Iftar%20(1).pdf

Read Daily Dua

                                            বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ০১.  Read Daily Dua  সিজদায় গিয়ে পড়ুন: ১১বার ইয়াকা না বুদু, ও ইয়াক...