বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩

জানেন খালি ঘরেও সালাম দিতে হয়, শুধু ‘ওয়ালাইকুম’ কাদের বলবেন

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম ২০২৩

‘সালাতুল হাজত’ নামাজের ধরাবাধা কোনো নিয়ম নেই। স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। চার রাকাতও পড়া যায়। নামাজ শেষে আল্লাহ তাআলার হামদ ও ছানা (প্রসংসা) এবং নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে— নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে। প্রায় ৩০দিন টানা পড়ার ইচ্ছায় পড়তে থাকুন। আল্লাহ খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না ইনশআল্লাহ। 

ইসতেগফারের দোয়া ২০২৩

উচ্চারণসুবহা-নাল্লা- (৩৩ বার) আলহাম্দুলিল্লা- (৩৩ বার) আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার) লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহুলাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর ( বার)

ইসতিগফার    (সুরা নুহ্ ১০-১২ আয়াত)    
( সর্বদা পড়িবে)
( সর্ব প্রকার অভাব অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য)


 বিসমিল্লাহির  রাহমানির রাহিম।
১।ফাক্কোল তুসতাগফিরু রাব্বাকুম, ইন্নাহু কানা গাফফারা। ।
অর্থ: (অনন্তর আমি বলেছি, তোমরা প্রতিপালকের নিকট স্বীয় অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।) 

২। ইউরসিলিস সামায়া আলাইকুম মিদরারা।

(তিনি তোমাদের জন্য আকাশ হতে বৃস্টি বর্ষন করবেন।)
৩। ওয়া ইউমদিদকুম বিআম ওয়ালিও ওয়া বানীনা । ওয়া ইয়াজ আল লাকুম জান্নাতিও  ওয়া ইয়াজ আল লাকুম আনহারা।
খুব বেশি উপকারী এটি। 

অপরের সালামের প্রত্যাশা না করে নিজ থেকে সালাম দেওয়া।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু

'ওয়া আলাইকুমুস সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি, ওয়া বারাকাতুহু'.


১. অমুসলিমদের সালামের উত্তরে শুধু ‘ওয়ালাইকুম’ বলা।

২. সালাম দেওয়ার পরই অন্য কথা বলা।

৩. সালামের উত্তর না পেলে তিনবার সালাম দেওয়া।

৪. ছোটরা বড়কে, পদচারী বসা ব্যক্তিকে এবং অল্প লোক বেশি লোককে সালাম দেওয়া।

৫. শিশুদের সালাম দেওয়া সুন্নত।

৬. মাহরাম নারীদের সালাম দেওয়া।

৭. কোনো বৈঠক থেকে ওঠার সময় সালাম দেওয়া।

৮. ঘরে ঢোকার সময় পরিবারের লোকদের সালাম দেওয়া।

৯. ঘরে কেউ না থাকলে এভাবে সালাম দেওয়া—‘আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালেহিন’।

১০. সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব।

১১. সালামদাতার চেয়ে উত্তম শব্দে কিংবা হুবহু সেই শব্দে উত্তর দেওয়া।

১২. অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে সালাম পাঠানো সুন্নত।

১৩. অনুপস্থিত ব্যক্তির পাঠানো সালামের উত্তর ‘আলাইকা ওয়া আলাইহিস সালাম’ বলে দেওয়া উচিত।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩

বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

 আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার দোয়া

কোন সূরা পড়লে বিপদ দূর হয়

দিন ভালো যাওয়ার দোয়া

৭০ টি বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া

যে কোন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া

বিপদ থেকে মুক্তির নামাজ

বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া আরবিতে

এসবের জন্য নিচের দোয়াগুলো সিরিয়ালি পড়তে থাকুন। মনে শতভাগ বিশ্বাস রাখতে হবে, এই পাটৈর কারণে আল্লাহতায়ালা আমার সমস্যার সমাধান দেবেন। 

আল্লাহ নিজেই তাঁর ওপর ভরসাকারীর দায়িত্ব নিয়ে নেন। তিনি বলেন ‘আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই।’ (সুরা তালাক: ৩)।


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

০১. রাব্বি আউজুবিকা মিন হামাযাতিশ শায়াতীন(শয়তানের প্ররোচনা হতে হে আল্লাহ তোমার নিকট আশ্রয় চাই)

 

০২.  উচ্চারণ- আসতাগ ফিরুল্লা-হাল আযিমাল্লাযী লা- ইলা-হা  ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া 'আতূবু ইলাইহি।

 

বাংলা -'আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব সদা বিরাজমান,আর আমি তারঁই নিকট তওবা করছি।

০৩. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরীকা শারীকা লাহু , লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।

 

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।  (মুসলিম-১/৪০৮)

০৪. আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিও ওয়া' আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহীমা  ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ। আল্লা হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

০৫. আল্লাহুম্মা সাল্লিা আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্না বিয়্যিল উম্মিয়্যি।হে আল্লাহ ! আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) যিনি সাধারণের ন্যায় শিক্ষা প্রাপ্ত নন, তাঁর ওপর রহমত অবতীর্ণ কর।

০৬. বিপদ মুক্তির খতম- লা ইলাহা ইল্লা ল্লাহু (আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই)

অধিক সম্পদ লাভের দোয়া

যে দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না

গায়েবী টাকা পাওয়ার উপায়

টাকা হাতে আসার দোয়া

গায়েবি সম্পদ পাওয়ার আমল

সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

সম্পদ রক্ষার দোয়া

আল ওয়াঝেদু নামের ফজিলত


কঠিন কাজে যাবার সময় নিম্মের দোয়া সমূহ পড়ে নেবেন---

 

বিসমিল্লাহহির রাহমানির রাহিম।

 

(ক)আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা -জা আলতাহু সাহলান ওয়া আনতা তাজ আলুল হাযনা ইযাশিতা সাহলান।

 

হে আল্লাহ কোন কাজই সহজসাধ্য নয়। তুমি যা সহজ করনি। তুমি ইচ্ছে করলে সব দুশ্চিন্তাকেও সহজ করতে পারো।- ইবনে সুন্নী-৩৫১ পৃস্টা।

(খ)  আল্লাহুম্মা ইয়াসসির লানা উমুরানা (হে আল্লাহ!আমার সব কাজ সহজ করে দিন)

০৭. আল্লাহুম্মা আকফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়াকা।(হে আল্লাহ আমাকে হালাল পথে এ পরিমাণ রিযিক দাও যা আমার জন্য যথেষ্ট হয়, আর হারাম রোজগারের যাতে প্রয়োজন না হয় এবং স্বচ্ছল করে দাও তোমার অনুগ্রহ দ্বারা এমনভাবে যাতে তুমি ব্যাতীত অন্য কারো প্রতি নির্ভর করতে না হয়।(সূত্র: সুনানু আত তিরমিজী হা.নং ৩৫৬৩,.ছহীহ)

০৮. রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।

০৯. আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল বারাছে ওয়াল জুজাম,ওয়াল জুনোন,ওয়া মিন সায়্যিয়িল আসক্কাম।(খারাপ রোগ থেকে মুক্ত থাকার দোয়া)

১০. উচ্চারণ : ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত ক্বালবি আলা দিনিকা।(তিরমিযী, মিশকাত)

 হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখ।

১১. সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি

 

নবী করিম(স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার এটি পাঠ করবে তার পাপ সমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও পাপ সাগরের ফেনা রাশির সমান হয়ে থাকে।

 

১২. আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হালিন  (সর্বাবস্থায় আমি আল্লাহর শোকর আদায় করছি)

 

১৩. ইয়া ওয়ালীউ/  ( হে জিন্মদার)- ওযুসহ পড়বেন-১১বার

 

১৪. ইয়া গাফুরু(দু:খ কষ্ট দূর করার জন্য )

 

১৫.ইয়া মুযিল্লু  (হিংসুক,জালেম,শত্রু, থেকে নিরাপদ থাকতে)

 

১৬.মু'ইজ্জু( হে সম্মানদাতা)-৪০বার বাদ মাগরিব.

 

১৭.ইয়া রাফিউ( হে উচ্চ পদে আসীনকারী) মধ্যরাতে ১০০০বার

 

১৮.ইয়া কাইয়্যুমু ( হে বিশ্ব সত্তার থারক ও কারক) -নির্জনে পাঠে স্বচ্ছলতা আনে

 

১৯.ইয়া ক্বাদিরু( হে শক্তিমান)-৪১বার -শত্রুকে অপমানিত করতে

 

২০.ইয়া গানিয়্যু- দৈনিক ৭০ বার

 

২১. ইয়া মুগনীউ (হে ধনদানকারী)

২২.ইয়া রাউফু (ত্রোধ দমন করতে ১০ বার আর দরুদ শরীফ ১০বার)

 

২৩.ইয়া মালিকাল মুলক-(পর নির্ভরশীলতা থেকে রক্ষায়)- যিকির করুন

২৪.ইয়া হাইউ(ফেরেসতাগণ সর্বদা এ নাম জিকির করেন। আহার নিদ্রার দরকার হয় না)

 

২৫. রাব্বিগ ফিরলী ওয়াতুব আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুল গাফুরু ( হে আল্লাহ আমায় ক্ষমা করো, তওবা কবুল করো,নিশ্চয়ই তুমি তবুলকারী ও ক্ষমাশীল।)

 সর্বদা পড়িবে)

( সর্ব প্রকার অভাব অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য)


হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ছবি

সম্পদ বৃদ্ধির দোয়া

রিজিক বৃদ্ধির আয়াত

রিজিক বৃদ্ধির ১৪ টি আমল

রিজিক বৃদ্ধির উপায়

রিজিক বৃদ্ধির সূরা

রিজিক বৃদ্ধির পরীক্ষিত আমল

উপরের আমলগুলো নিয়মিতভাবে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়ুন। 

আল্লাহ তাঁর ওপর নির্ভরশীল বান্দাদের অগণিত রুটি-রুজি দেন, পার্থিব সব সমস্যার সমাধান করেন এবং আখিরাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন ও তাদের মর্যাদা সুউচ্চ করেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হতে, তাহলে পাখিদের যেভাবে রিজিক দেওয়া হয়, সেভাবে তোমাদেরও রিজিক দেওয়া হতো। এরা সকালবেলা খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যাবেলায় ভরা পেটে ফিরে আসে।’ (তিরমিজি)


সবশেষে আবার দুরুদ শরীফ

আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিও ওয়া' আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহীমা  ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ। আল্লা হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা  'আলা ইবরাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

 আল্লাহুম্মা সাল্লিা আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্না বিয়্যিল উম্মিয়্যি।হে আল্লাহ ! আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) যিনি সাধারণের ন্যায় শিক্ষা প্রাপ্ত নন, তাঁর ওপর রহমত অবতীর্ণ কর।

 

সময় থাকলে, ওযু করে রাতে পড়ুন বা মনযোগ দিয়ে পবিত্র কোরআনের নিচের সূরা ৬টি শুনুন:

ভাগ্য পরিবর্তন হবেই ইনশআল্লাহ। যে কোন প্রকার ভয়াবহ বিপদ, সমস্যা হতে নিরাপদে থাকবেন।

০১. সূরা হাজ্জ ০২. সূরা কালাম ০৩. সূরা আররাহমান ০৪.সূরা মুলক ০৫. সূরা ওয়াকিয়াহ ০৬. সূরা দুখান।

 

নোট:০১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

প্রার্থনা কবুল হবে এ দৃঢ় বিশ্বাস রেখে তোমরা প্রার্থনা করবে। এবং জেনে রাখ আল্লাহ কোনো উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা কবুল করেন না। (তিরমিজী, হাকেম)

০২. অভাবকালে মানুষের কাছে হাত না পেতে আল্লাহর শরণাপন্ন হলে এবং তার কাছেই প্রাচুর্য চাইলে অবশ্যই তার অভাব মোচন হবে এবং রিজিক বাড়ানো হবে। আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হয়, অতপর তা সে মানুষের কাছে সোপর্দ করে (অভাব দূরিকরণে মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়), তার অভাব মোচন করা হয় না। পক্ষান্তরে যে অভাবে পতিত হয়ে এর প্রতিকারে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হয় তবে অনিতবিলম্বে আল্লাহ তাকে তরিৎ বা ধীর রিজিক দেবেন। (তিরমিযী : ২৮৯৬; মুসনাদ আহমদ : ৪২১৮)


বিভিন্ন অজিফা ও দোয়া দরুদের বই, মুরব্বিদের পরামর্শে উপরের দোয়া ও আমল , আল্লাহর পবিত্র নাম নির্বাচন করা হয়েছে। সব জায়গায় ঘুরে ফিরে এসবই পাবেন। 


Read Daily Dua

                                            বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ০১.  Read Daily Dua  সিজদায় গিয়ে পড়ুন: ১১বার ইয়াকা না বুদু, ও ইয়াক...