প্রথমে তওবা পড়া ও মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে , তার পর প্রার্থনা শুরু করাকে উত্তম বলে আমি মনে করি।
রাসুল্লাহ(স.) বলেছেন,যে ব্যক্তি পড়বে---
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
উচ্চারণ- আসতাগ ফিরুল্লা-হাল আযিমাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া 'আতূবু ইলাইহি।
বাংলা -'আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব সদা বিরাজমান,আর আমি তারঁই নিকট তওবা করছি।
মহান আল্লাহতায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। সুবাহানাল্লাহ
(আবূ দাউদ-২/৮৫,তিরমিযী,-৫/৫৬৯,সহীহ তিরমিয়ী-৩/১৮২,হিসনুল মুসলিম-৪২৬ পাতা)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
এক:
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরীকা শারীকা লাহু , লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (মুসলিম-১/৪০৮)
২য়:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ইসতিগফার (সুরা নুহ্ ১০-১২ আয়াত)
( সর্বদা পড়িবে)
( সর্ব প্রকার অভাব অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
১।ফাক্কোল তুসতাগফিরু রাব্বাকুম, ইন্নাহু কানা গাফফারা। ।
অর্থ: (অনন্তর আমি বলেছি, তোমরা প্রতিপালকের নিকট স্বীয় অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।)
২। ইউরসিলিস সামায়া আলাইকুম মিদরারা।
(তিনি তোমাদের জন্য আকাশ হতে বৃস্টি বর্ষন করবেন।)
৩। ওয়া ইউমদিদকুম বিআম ওয়ালিও ওয়া বানীনা । ওয়া ইয়াজ আল লাকুম জান্নাতিও ওয়া ইয়াজ আল লাকুম আনহারা।
(এবং তিনি তোমাদিগকে ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দ্বারা সাহায্য করবেন। তোমাদের জন্য উদ্যান সমূহ সুষ্টি করবেন।)
প্রত্যেক দোয়া শেষে দরুদ পড়িতে হবে।
দরুদ শরীফ পড়ুন( আল্লাহুম্মা..... অআসহাবিহী অসালাম্ম)
খোদ আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেস্তা মারফত হযরত নুহ্ (আলা.) কে শিখিয়ে দেয়া দোয়া।
রাতের শেষ তৃতীয়াংশঃ
এই সময় দোয়া কবুল হবার ব্যাপারে সহীহ হাদীসে অত্যন্ত জোরালো রেফেরেন্স আছে। এটা প্রতিটি রাতের জন্যই প্রযোজ্য, শুধুমাত্র শবে বরাত, শবে মিরাজ বা কদর রাতে নয়।
আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, “প্রত্যেকদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের রব (আল্লাহ) সবচেয়ে নীচের আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আমাকে ডাকছো, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেবো। কে আমার কাছে চাইছো, আমি তাকে তা দেবো। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী, যে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেবো?” (সহীহ বুখারী)
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, “আল্লাহর কাছে তাঁর একজন উপাস্য সবচেয়ে নিকটতম যে সময়টাতে আসতে পারে তা হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশ। সুতরাং তোমরা যদি পারো তাহলে তোমরা তাদের একজন হও যারা সে সময় আল্লাহর স্মরণ করে”। (তিরমিজি, নাসায়ী, আল হাকিম-সহীহ)
১।ফাক্কোল তুসতাগফিরু রাব্বাকুম, ইন্নাহু কানা গাফফারা। ।
অর্থ: (অনন্তর আমি বলেছি, তোমরা প্রতিপালকের নিকট স্বীয় অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।)
২। ইউরসিলিস সামায়া আলাইকুম মিদরারা।
(তিনি তোমাদের জন্য আকাশ হতে বৃস্টি বর্ষন করবেন।)
৩। ওয়া ইউমদিদকুম বিআম ওয়ালিও ওয়া বানীনা । ওয়া ইয়াজ আল লাকুম জান্নাতিও ওয়া ইয়াজ আল লাকুম আনহারা।
(এবং তিনি তোমাদিগকে ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দ্বারা সাহায্য করবেন। তোমাদের জন্য উদ্যান সমূহ সুষ্টি করবেন।)
প্রত্যেক দোয়া শেষে দরুদ পড়িতে হবে।
দরুদ শরীফ পড়ুন( আল্লাহুম্মা..... অআসহাবিহী অসালাম্ম)
খোদ আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেস্তা মারফত হযরত নুহ্ (আলা.) কে শিখিয়ে দেয়া দোয়া।
রাতের শেষ তৃতীয়াংশঃ
এই সময় দোয়া কবুল হবার ব্যাপারে সহীহ হাদীসে অত্যন্ত জোরালো রেফেরেন্স আছে। এটা প্রতিটি রাতের জন্যই প্রযোজ্য, শুধুমাত্র শবে বরাত, শবে মিরাজ বা কদর রাতে নয়।
আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, “প্রত্যেকদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের রব (আল্লাহ) সবচেয়ে নীচের আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আমাকে ডাকছো, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেবো। কে আমার কাছে চাইছো, আমি তাকে তা দেবো। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী, যে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেবো?” (সহীহ বুখারী)
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, “আল্লাহর কাছে তাঁর একজন উপাস্য সবচেয়ে নিকটতম যে সময়টাতে আসতে পারে তা হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশ। সুতরাং তোমরা যদি পারো তাহলে তোমরা তাদের একজন হও যারা সে সময় আল্লাহর স্মরণ করে”। (তিরমিজি, নাসায়ী, আল হাকিম-সহীহ)
০১. রাসুল্লাহ(স.) বলেছেন,যে ব্যক্তি পড়বে---
উচ্চারণ- আসতাগ ফিরুল্লা-হাল আযিমাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া 'আতূবু ইলাইহি।
বাংলা -'আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব সদা বিরাজমান,আর আমি তারঁই নিকট তওবা করছি।
মহান আল্লাহতায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। সুবাহানাল্লাহ
(আবূ দাউদ-২/৮৫,তিরমিযী,-৫/৫৬৯,সহীহ তিরমিয়ী-৩/১৮২,হিসনুল মুসলিম-৪২৬ পাতা)
দৈনিক ৭০-১০০ বার পড়া উত্তম বলে পরামর্শ রয়েছে।
০২. রাসুল্লাহ(স.) বলেছেন,যে ব্যক্তি দিনে একশতবার -- সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি হামদিহী।
পাঠ করে তার পাপ সমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।
(সূত্র: বুখারী-৭/১৬৮/মুসলিম-৪/২০৭১)
০৩. রাসুল্লাহ(স.) বলেছেন,দুটি কলেমা মহান আল্লাহতায়ালার নিকট খুবই প্রিয়-
ক) সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি হামদিহী সুবহা-নাল্লা-হিল আযীম।
অর্থ- আল্লাহর প্রশংসা করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। কি পবিত্র মহান আল্লাহ।
(বুখারী-৭/১৬৮)
খ) সুবহা-নাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি,ওয়ালা ইলা -হা ইল্লাহা-হু ,ওয়াল্লাহু আকবারু।
আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি-সর্ববিধ প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য,তিনি ব্যতিত সত্যিকার কোনো মাবূদ নেই,তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ।:
শ্রেষ্ঠ দোয়া কোনটিঃ
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ অসংখ্য দোয়া উল্লেখ করেছেন এবং এগুলোই দোয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এর মধ্যে একটি দোয়ার কথা সহীহ হাদিসে এসেছে যেটা রাসুলুল্লাহ সাঃ বেশি পড়তেন। সেটি হলো-
“রাব্বানা আতিনা ফীদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফীল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া কিনা আ’জাবান নার” ( ও প্রতিপালক, আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দিন আর আমাকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন )।