গুনাহ, পেরেশানি, কবরের আযাব থেকে মুক্তি, গুনাহ মাফের শ্রেষ্ঠ দোয়া(দো'আ) নিয়ে আজ আলোচনা। গুনাহ, পেরেশানি, কবরের আযাব থেকে মুক্তি, গুনাহ মাফের শ্রেষ্ঠ দোয়া, রিযিক বৃদ্ধি,অভাব দূর, ভাগ্য পরিবর্তনের দোয়া নিয়ে আলোচনার আগে প্রাক আলোচনা দরকার।অন্ধভাবে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে।
কোন কিছুই তাকদিরকে পরিবর্তন করতে পারে না, দোয়া ছাড়া। বলেছেন, নবী করিম (সা.)।
একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা ( তাওয়াক্কুল করতে হবে)
"যখন তুমিদৃঢ়ভাবে ইচ্ছা করবে,তখন আল্লাহর উপর ভরসা করবে। নিশ্চয় আল্লাহ ভরসাকারীদের ভালবাসেন।"-সূরা-আলে ইমরান(১৫৯)
"আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে পতিত সমস্যা সমাধানের পথ করে দেবেন। তাকে তার ধারণাতীত স্থান থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট"।
সূরা: তালাক:২-৩
০১. "হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুয়া,আ'লাইহি তাওয়াক্কালতু,ওয়া হুওয়া রব্বুল আরশিল আ'যীম।"
সূরা তাওবা :১২৯
সকাল বিকেল ৭বার করে পাঠ করুন।
ফযিলত : যে ব্যক্তি দোয়াটি পড়বে তার দুনিয়া ও আখেরাতের সকল চিন্তাভাবনার জন্য আল্লাহ-ই যথেষ্ট হবেন।
০২. লা ইলাহা ইল্লাহ্-দৈনিক ১শতবার(এটা সর্বোত্তম যিকির)
০৩. "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আযীম।" -দৈনিক ১শতবার
০৪. সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ এবং ". লা ইলাহা ইল্লাহ্"- নামাজ শেষে ৩৩বার করে যিকির করুন।
০৫. "আস্তাগফিরুল্লাহিল্লাাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।"
সকাল বিকেল যখন খুশি পড়তে থাকুন।গুনা মাফ হওয়ার,মাফ চাওয়ার দোয়া এটি।
০৬. ইয়া-হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ।
০৭. লা ইলাহা ইল্লাহা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমিন।
০৮. ইয়া গানিয়্য, ইয়া মুগনি'য় , রাউফু, ইয়া রাজ্জাকু, ইয়া বাসিতু দিন-রাত পড়তে থাকুন।
০৯. দৈনিক ১০০বার বিসমিল্লাহ পড়ুন।
১০. লা হাওলা অলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ---১০০বার পড়ুন।
১১. লা ইলাহা ইল্লাহুল মালিকুল হাক্কুল মোবিন।-(দুনিয়া ও পরকালের সুখ শান্তি)
১২.বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
১।ফাক্কোল তুসতাগফিরু রাব্বাকুম, ইন্নাহু কানা গাফফারা। ।অর্থ: (অনন্তর আমি বলেছি, তোমরা প্রতিপালকের নিকট স্বীয় অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।)
২। ইউরসিলিস সামায়া আলাইকুম মিদরারা।
(তিনি তোমাদের জন্য আকাশ হতে বৃস্টি বর্ষন করবেন।)
৩। ওয়া ইউমদিদকুম বিআম ওয়ালিও ওয়া বানীনা । ওয়া ইয়াজ আল লাকুম জান্নাতিও ওয়া ইয়াজ আল লাকুম আনহারা।
১৩. আল্লাহুম্মা আকফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়াকা।(হে আল্লাহ আমাকে হালাল পথে এ পরিমাণ রিযিক দাও যা আমার জন্য যথেষ্ট হয়, আর হারাম রোজগারের যাতে প্রয়োজন না হয় এবং স্বচ্ছল করে দাও তোমার অনুগ্রহ দ্বারা এমনভাবে যাতে তুমি ব্যাতীত অন্য কারো প্রতি নির্ভর করতে না হয়।
সবচেয়ে বেশি লাভ সিজদা করে---যিকির, মোনাজাত, দোয়া পাঠ।
রাসূল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ বলেন-, " আমার যিকির যাকে এরুপভাবে নিমগ্ন রাখে যে , সে আমার কাছে কিছু চাওয়ার সময় পায় না। তাকে আমি এমন বস্তু দান করবো, যা প্রার্থনাকারীদের প্রাপ্য বস্তুর চেয়ে উত্তম।;
মনে রাখবেন-অভাবে পড়ে মানুষের কাছে কিছু চাওয়া হলে আল্লাহ তার অভাব দূর করেন না।
রাসূল(সা.) হতে বর্ণিত আল্লাহ বলেন,
"হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজের অবসর সময় তৈরি করো এবং ইবাদতে মন দাও। তাহলে তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্রতা ঘুচিয়ে দেব।যদি তা না কর ,তাহলে তোমার হাতকে কর্মব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর করবো না। (তিরমিযী.ইবনে মাজাহ)।
আরও পড়ুন : মোনাজাত এ যা বলবেন