রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১৬

অধিকার হরণ

কবিরা গুনাহ-৪৭ (স্বামী-স্ত্রী অপরের অধিকার হরণ করা।)

পবিত্র কোরআন এর দলিলঃ
  • আর যেসব স্ত্রীর মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর, তাদেরকে তোমরা সদুপদেশ দাও, তাদেরকে বিছানায় পৃথক করে দাও এবং (প্রয়োজনে মৃদু) প্রহার কর। তাতে যদি তারা তোমাদের বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন পথ তালাশ করো না।”(সুরা আন নিসা-৩৪)
এ আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে হযরত ইমাম ওয়াহেদী রহঃ বলেনঃ এখানে “অবাধ্যতা” দ্বারা বুঝানো হয়েছে- “স্ত্রী স্বামীর অবাধ্যচারী হওয়া”। তার আমূল পরিবর্তন হওয়া এবং কোন কারণ ছাড়াই স্বামীকে যৌন মিলনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা এর অন্তর্ভুক্ত। “সুদুপদেশ দাও” অর্থ হচ্ছে আল কোরানে নির্দেশিত আল্লাহর বিধি বিধানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ এর মতে, “শয্যায় তাদের পৃথক করার” অর্থ হচ্ছে- স্ত্রীর দিকে না ফিরে বরং তার দিকে পিঠ ফিরিয়ে শোয়া এবং কোন প্রকার কথা বলা থেকে বিরত থাকা। হযরত শা’বী ও মুজাহিদের মতে, এর অর্থ হচ্ছে, শয্যা একেবারেই পৃথক করে নেয়া এবং স্ত্রীর সাথে এক শয্যায় না শোয়া। আর “প্রহার কর” অর্থ- হালকা মারধর করা, যাতে সে খুব একটা কষ্ট না পায়। হযরত ইবনে আব্বাসের মতে, খালি হাতে চড়, কিল ইত্যাদির বেশী নয়। এ অবস্হায় স্বামীকে স্ত্রীর অবাধ্যতার ব্যপারে অত্র আয়াকে নির্ধারিত আল্লাহর বিধানের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।
পবিত্র হাদিসের দলিলঃ
বোখারী ও মুসলিমে আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “যখন কোন ব্যক্তি স্ত্রীকে শয্যায় আহবান করে, আর স্ত্রী সেই আহবানে সাড়া দেয়না, তখন ভোর না হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতাকুল তাকে অভিশাপ দিতে থাকে।
বোখারী ও মুসলিমের আর এক হাদীসে আছে, যখন কোন স্ত্রী স্বামীর বিছানায় শয়ন না করে অন্যত্র রাত যাপন করে, তখন স্বামী সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।
হযরত জাবের রাঃ বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তিন জনের নামায কবুল হয় না এবং তাদের কোন সৎকাজ আকাশেও উঠেনা। (তারা হচ্ছে-) পালিয়ে যাওয়া দাস, যতক্ষন না সে তার মনিবের কাছে ফিরে যায় এবং তার হাতে আপন হাত রাখে। যে মহিলার প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট, যতক্ষন না তার স্বামী তার প্রতি খুশি হয় এবং মদে মাতাল ব্যক্তি, যতক্ষন না সে স্বাভাবিক অবস্হায় ফিরে আসে। (তাবারানী, ইবনে খুযায়মা ও ইবনে হেব্বান।)
হাসান বলেন আমাকে এমন কজন জানিয়েছেন যারা শুনেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “কেয়ামতের দিন মহিলাদেরকে প্রথমে তাদের নামায ও স্বামীর ব্যপারে প্রশ্ন করা হবে।” বোখারী বর্ণিত এক হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মুমিনা স্ত্রীলোকের পক্ষে স্বামীর সম্মতি ছাড়া নফল রোযা রাখা এবং তার গৃহে তার বিনা অনুমতিতে আর কাউকে ঢুকতে দেয়া জায়েয নেই। “
আর এক হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “আমি যদি কারো সামনে কাউকে সেজদা করার অনুমতি দিতাম, তাহলে স্ত্রীর জন্য স্বামীকে সেজদা করতে বলতাম।” (তিরমিযী)

একবার হুসাইন বিন মুহসেনের ফুফু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে অভিযোগ করলে তিনি বললেনঃ “ভেবে দেখ তার তুলনায় তুমি কতটুকু মর্যাদার পাত্রী। সে তোমার জান্নাত ও জাহান্নাম।” (নাসায়ী)


আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সর্বদা স্বামীর উপর নির্ভরশীল হয়েও যে স্ত্রী স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, তার দিকে আল্লাহ পাক দৃষ্টি দিবেন না। ইবনে ওমর রাঃ বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ স্বামীর সম্মতি ছাড়া স্ত্রী যখন তার ঘর থেকে বের হয়, তখন পুনরায় সে ঘরে ফিরে না আসা পর্যন্ত অথবা তওবা না করা পর্যন্ত ফেরেশতাকুল তাকে অভিশাপ দিতে থাকেন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ স্বামীকে খুশী রেখে যে স্ত্রীলোক মৃত্যুবরণ করে সে বেহেশতে যাবে। (ইবনে মাযা, তিরমিযী ও হাকেম।)
স্ত্রীর অধিকারঃ
স্ত্রীকে যেমন স্বামীর আনুগত ও তার মনোতুষ্টি বিধানের জন্য নির্দেশ দেয় হয়েছে, ঠিক একই ভাবে স্বামীকেও স্ত্রীর সাথে সদ্ব্যবহার, নরম কোমল আচরণ করার আদেশ হয়েছে। স্ত্রীর সাথে সদ্ব্যবহার, নরম কোমল আচরণ করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে। স্ত্রীর কাছ থেকে যদি কোন অসদাচরণ বা দুর্ব্যবহর ইত্যাদি দেখা দেয়, তবে তাতে উদার-সহিঞ্চু চিত্তে ধৈর্যাবলম্বন এবং স্ত্রীর ভরণ পোষণ ও সম্মানজনক জীবন ধারণের সুব্যবস্হা করার জন্যও স্বামী আদিষ্ট হয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়াল পবিত্র কোরানে পাকে বলেন,
“তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সদাচরণ কর।”
ইবনে মাযা ও তিরমিযী শরীফে বর্ণিত হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে ভালো মন্দ তথা কল্যাণের দিকে খেয়াল রেখ। সাবধান! তারা তোমাদের বন্দিনী (হাতে ন্যস্ত), সাবধান ! স্ত্রীদের উপর যেমন তোমাদের অধিকার রয়েছে, ঠিক তেমনি তোমাদের উপরও স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। তোমাদের কাছে স্ত্রীদের প্রাপ্য অধিকার হচ্ছে, তোমরা তাদের সাথে সদাচরণ করবে, তাদের ভরণ পোষণ প্রদান করবে। আর স্ত্রীদের কাছে তোমাদের প্রাপ্য অধিকার হচ্ছে, তারা তাদের সতীত্ব সম্ভ্রম তোমাদের জন্য সংরক্ষন করবে এবং তোমাদের অবান্চিতদেরকে তোমাদের ঘরে ঢুকতে দিবেনা।
হযরত আয়েশা রাঃ বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম ব্যক্তি, যে আপন পরিবার পরিজনদের কাছে সবচেয়ে বেশী উত্তম।” (ইবনে হেব্বান)
আর এক বর্ণনায় আছে, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে নিজ পরিবারে সাথে অধিকতর কোমল আচরণকারী।”- স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহধর্মিনীদের সাথে অত্যধিক নরম-কোমল আচরণ করতেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে লোক স্ত্রীর দুর্ব্যবহারে সবর এখতিয়ার করবে, যে হযরত আইয়ূব আঃ এর ন্যয় পুরস্কার পাবে। আর যে মহিলা স্বামীর দূর্ব্যহারে ধৈর্যধারণ করবে, সে ফেরআউনের বিদুষী স্ত্রী আছিয়া বিনতে মুজাতিমের ন্যায় পুরস্কার প্রাপ্ত হবে।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১৬

নিজ ও অপরের জন্য যেভাবে দোয়া কামনা করবেন









দোয়া কবুল হবার জন্য

০১. আল্লাহর প্রশংসা জনিত  কোরানের বাণী   ০২. হাদীসের বানী পড়তে হবে।
০৩. নবী করিম(স.) ওপর দরুদ পড়তে হবে।

পাক বিবিগণ, পবিত্র বংশধরগণ,চারি আসহাব,  তামাম সাহাবী,শহীদানে বদর, ইসলামের জন্য শহীদ, ওহুদে কারবালা, হযরত বড় পীর(র.), অন্যান্য আওলিয়াদের জন্য এবং নিজের পূর্ববর্তী বংশধর পুরুষ ও মহিলা, কামেল ব্যক্তিগণ,.স্বীয় পিতা মাতা,ভাই বোন( যদি ইন্তেকাল করেন) তাদের জন্য  

০৪. সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্য

০৫. সব শেষে নিজের জন্য প্রার্থনা করতে হবে।
রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না  ইন্নাক আনতাছ ছামিউল আলীম।
অর্থ: হে আমাদের রব! আমাদের ইবাদত বন্দেগী তুমি কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। আমিন। 

Prophets of Islam

Bismillahir Rahmanir Rahim

In the Name of Allah the most Gracious the most Merciful.


Muhammad(Sallalahu Alayhe Wa Sallam) is the Messenger of ALLAH


I---S---L---A---M:

I For I

S for Shall

L For  Love

A For All

M For Messengers.

আব্দুল্লাহ বিন উমার (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
بني الإسلام على خمس: شهادة أن لا إله إلا الله ، وأن محمداً رسول الله ،وإقامة الصلاة ، وإيتاء الزكاة ، والحج، وصوم رمضان)
ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। লা ‘ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তথা এ কথার স্বাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সা: আল্লাহর রাসুল, নামায প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, হজ্জ আদায় করা এবং রামাযান মাসে রোযা রাখা। [সহীহ বুখারী: অধ্যায়:২, হাদীস:৭]


ইসলাম ধর্মের মূল স্তম্ভ হলো ৫টি
  1. কালেমা বা স্বাক্ষ্য দেয়া (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্‌।)
  2. নামাজ বা সালাত
  3. রোজা বা সাউম
  4. হজ্জ
  5. যাকাত


Five Pillars of Islam

01.IMAN
02. Prayer
03. Fasting
04.Pilgrimage
05. Poor-Due

কবীরা গুনাহ:
আল্লাহর সাথে শিরক করা
নামায পরিত্যাগ কর
পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
যাদু-টোনা করা
এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন করা
সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া
রোযা না রাখা
যাকাত আদায় না করা
ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা
যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
অহংকার করা
চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো)
আত্মহত্যা করা
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা
উপকার করে খোটা দান করা
মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
জুয়া খেলা
তকদীর অস্বীকার করা
অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
মিথ্যা কথা বলা
মিথ্যা কসম খাওয়া
মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা
জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া
মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে করা।
যার জন্যে হিলা করা হয়
মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা
মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা
মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
খেলার ছলে কোন প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের লক্ষ্য বস্তু বানানো
কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা
ওজনে কম দেয়া
ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা
ইসলামী আইনানুসারে বিচার বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা
জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা বা পরের জমি জবর দখল করা
গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ চর্চা করা
দাঁত চিকন করা
সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা
অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা
নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা
বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো
কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা
পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া
পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা
মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
ডাকাতি করা
চুরি করা
সুদ লেন-দেন করা, সুদ লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা
ঘুষ লেন-দেন করা
গনিমত তথা জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের পূর্বে আত্মসাৎ করা
স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
জুলুম-অত্যাচার করা
অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা
প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা
রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা
স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা
পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা
সাহাবীদের গালি দেয়া
নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির সামনে দিয়ে গমন করা
মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন
ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা
পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা
কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করা
বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট
স্বামীর অবাধ্য হওয়া
স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা
স্বামী-স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা
বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া
বিশ্বাস ঘাতকতা করা
অঙ্গীকার পূরণ না করা
আমানতের খিয়ানত করা
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
ঋণ পরিশোধ না করা
বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না
তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদি ঝুলানো
পরীক্ষায় নকল করা
ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা
ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা
আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার-ফয়সালা করা
দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা
কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা
নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা
আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া
কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার মর্যাদাঃ
১. মহান আল্লাহ বলেন:
إِن تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا
যেগুলো স¤পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের (ছাট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।” (সূরা নিসা: ৩১)

Read Daily Dua

                                            বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ০১.  Read Daily Dua  সিজদায় গিয়ে পড়ুন: ১১বার ইয়াকা না বুদু, ও ইয়াক...